ব্যবসা-বাণিজ্যঃ
ধান, গম, পাট, আলু ইত্যাদি প্রধান ফসল হওয়া সত্ত্বেও বড় ধরণের কোন আড়ত এখানে নেই। কতিপয় ব্যক্তি ছোট ছোট বাজার থেকে এ সম্পদ সংগ্রহ করে সড়ক ও নৌপথে পরিবহণ করে থাকেন। ফলে উৎপাদক তার ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হয়েই যাচ্ছেন। দেশের অন্যান্য এলাকার তুলনায় শিল্প কারখানার দিক থেকে সবচেয়ে অনগ্রসর ও পশ্চাৎপদ হিসেবে নেত্রকোণা জেলার অবস্থান। কোথাও কোন ভারী শিল্প কারখানা আজও প্রতিষ্ঠা লাভ করেনি। গুটি কয়েক চাউল কল ব্যতীত উল্লেখযোগ্য শিল্প কারখানা এ জেলায় নেই। কৃষি নির্ভর এলাকা হওয়া সত্ত্বেও এখানে গড়ে ওঠেনি কোন হিমাগার। এখানে শ্রম বাজার অত্যন্ত কম। এ খাতে বিনিয়োগ করা হলে এলাকার জনসাধারণের কৃষিপণ্য উৎপাদনে আরও উৎসাহ ও প্রেরণা বৃদ্ধি পাবে।
জেলার ৫২% এর অধিক লোক কৃষিকাজে নির্ভরশীল হওয়ায় আবাদ মৌসুমে ব্যস্ত সময় অতিক্রম করলেও বাকী সময় অলস জীবন যাপন করেন। বাকী সময়ে তাদের বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হলে একদিকে যেমন তাদের জীবনে অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা আসতো অন্যদিকে দেশের প্রবৃদ্ধির হারও বৃদ্ধি পেতো।
এ জেলার আরো একটি প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে তা হলো মৎস্য সম্পদ। বিরল প্রজাতির ও অত্যান্ত পুষ্টিকর বিভিন্ন প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। যার কোন চাষাবাদ করা হয়না। অসংখ্য নদ-নদী, হাওর, বিল ও ডোবায় এ মাছ পাওয়া যায়। এছাড়া জেলার দূর্গাপুর উপজেলার পাহাড়ে সাদা মাটি পাওয়া যায় যা সিরামিক পণ্য উৎপাদনে ব্যবহার করা হয়। সাদা মাটি এবং উৎকৃষ্ট বালির ব্যবসায় অনেকে জড়িত।
জেলার একমাত্র বিসিক শিল্প নগরী প্রতিষ্ঠিত হলেও এখানে আজ পর্যন্ত মাত্র একটি শিল্প কারখানা গড়ে ওঠলেও বাকি সকল শিল্প প্লট খালি রয়েছে। বিসিক শিল্প নগরীকে কার্যকর করার জন্য উদ্যোগ নেয়া হলে জেলার বেকার সমস্যা নিরসনে প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখবে। জেলায় বিচ্ছিন্নভাবে নারী-পুরুষ কুটির শিল্পে কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের নিজস্ব বসত ভিটায় নির্মাণ করছেন অত্যন্ত সমাদৃত নক্শী কাঁথা, ওয়ালমেট, শাড়ীর নক্শা ও বিভিন্ন রকম হস্তপণ্য। গুটি কয়েক এনজিও এ কাজে নামমাত্র পৃষ্ঠপোষকতার ছোঁয়া রেখে চলেছে।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS